Header Ads

রূপচর্চায় হলুদ গাঁদা

ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে গাঁদা ফুল। মডেল: জেনিফার
হলুদ-গাঁদার ফুল, রাঙা-পলাশ ফুল।
এনে দে এনে দে নইলে রাঁধব না, বাঁধব না চুল।।’
বাংলাদেশে গাঁদা ফুলের এমনই কদর। বিয়েবাড়ি, গায়েহলুদে বা যেকোনো অনুষ্ঠানে। ঘর বা নিজেকে সাজানোর জন্যই নয়, গাঁদা ফুলের আছে আরও অনেক গুণ। গাঁদার ব্যবহার দেখা যায় রূপচর্চায়। ত্বকে কোথাও কেটে, ছিঁড়ে গেলেও আগে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহার করা হতো গাঁদা গাছের পাতার রস।
লোমকূপের ব্যাকটেরিয়া দূর করা, ব্রণ হওয়া থেকে ত্বককে রক্ষা করা, ত্বকের পুরোনো ক্ষতের দাগ দূর করা, প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করা, ত্বক ও মাথার শুষ্কতা দূর করা ইত্যাদি কাজ দক্ষতার সঙ্গেই করে গাঁদা। আয়ুর্বেদিক রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা জানান, গাঁদা ফুল প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়ার কাজ করে। এ ছাড়া আছে নানা ঔষধি গুণ। ত্বক ও চুলের পরিচর্যায় এই মৌসুমে গাঁদা ফুলের শতভাগ ব্যবহার করতে পারেন। জেনে নেওয়া যাক আরও কী কী গুণ রয়েছে গাঁদা ফুলের।
গাঁদা ফুলের যত গুণ
* বলিরেখা থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
* ত্বকের কাটা-ছেঁড়ায় জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে।
* ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতেও সাহায্য করে এই ফুল।
* ত্বকের তরুণ ভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে।
* রোদে পোড়া ত্বককে সজীব করে তোলে।
* চোখের নিচের ফোলা ভাব কমায়।
* মাথার খুশকি দূর করে।
* চুলে প্রাকৃতিক রঙের কাজ করে।
* ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
রাহিমা সুলতানা আরও জানালেন, গাঁদা ফুল ত্বকে তিনভাবে ব্যবহার করা যায়। এর পেস্ট করে নিতে পারেন। আর না হলে গুঁড়া। এর জন্য প্রথমে গাঁদা ফুলের পাপড়ির সাদা অংশ বাদ দিয়ে কেবল হলুদ অংশ সংগ্রহ করতে হবে। এরপর তা ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। ভালো হবে যদি পরিষ্কার পাপড়িগুলো কাঁচা দুধে ১৫-২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখেন। এরপর সেটি ব্লেন্ডারে পিষে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে গাঁদা ফুলের পেস্ট। এটি ত্বকে নানাভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যদিকে গাঁদা ফুলের পাউডার বা গুঁড়া সংরক্ষণ করতে চাইলে প্রথমে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাপড়ি সংগ্রহ করতে হবে। এরপর সেই পাপড়িগুলো ধুয়ে একটি ট্রেতে ছড়িয়ে দিন। রোদে শুকিয়ে ব্লেন্ডারে গুঁড়া করুন। এভাবে তৈরি গাঁদা ফুলের গুঁড়া কাচের বয়ামে অনেক দিন সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।
ত্বকের যত্নে গাঁদা ফুলের কয়েকটি প্যাক
* সমপরিমাণ গাঁদা ফুলের পেস্ট বা পাউডার, দুধ, বেসন মুলতানি মাটি বা চন্দনের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান। ১৫-২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বক উজ্জ্বল করবে ও রোদে পোড়া ভাব দূর করতে সাহায্য করবে।
* গাঁদা ফুলের সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে ব্রণের সমস্যা দূর হয়।
* ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে গাঁদা ফুলের পেস্ট বা গুঁড়ার সঙ্গে টক দই, গোলাপ জল ও সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখলে উপকার পাওয়া যাবে।
* দুধের সরের সঙ্গে গাঁদা ফুলের পেস্টের মিশ্রণ ত্বকের শুষ্কতা ও বলিরেখা দূর করে।

2 comments:

Powered by Blogger.