কার্লোস তেভেজের জন্মদিন আজ।
তাঁকে
প্রথম চোখে পড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলার সময়। রোনালদো-রুনি আর তাঁর
মাঝে যে বন্ধন ছিল, সেটা সে সময় দেখা দুষ্কর। দুই মহাতারকার প্রদীপের আলোর
নিচেই থাকতেন কার্লোস তেভেজ। তবু তাঁর মুখের পোড়া দাগটাই যেন চোখ কেড়েছিল
আমার।
লাতিন আমেরিকা থেকে উঠে আসা ফুটবলারদের গল্প মানেই যেন দারিদ্র্যের ছোঁয়া। সেখান থেকে জীবনসংগ্রামে জয়ী হয়েই এ পর্যায়ে আসতে হয়। তেভেজও ভিন্ন কেউ নন। তবে তাঁর জীবনটা আরও বেশি কঠিন ছিল। মাত্র ১০ মাস বয়সে গায়ে গরম পানি পড়ে শরীরে তৃতীয় মাত্রার পোড়া ক্ষত সৃষ্টি হয়। এর ফলে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে থাকতে হয় প্রায় দুই মাস। সে দাগ মোছার জন্য চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি হতদরিদ্র পরিবারের।
আর্জেন্টিনাকে ম্যারাডোনা-বাতিস্তুতার পর প্রথম জয়ের স্বাদ দিয়েছিলেন তেভেজই। ক্রেসপো-ওর্তেগারা যে ট্রফির স্বাদ আর্জেন্টিনাকে দিতে পারেননি, তা দিতে সমর্থ হয়েছিলেন। দেশটিকে প্রথম অলিম্পিক সোনা জিতিয়েছেন ২০০৪ সালে। দেশকে অধরা সাফল্য এনে দিতে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন তেভেজ। আর্জেন্টিনাকে প্রায় জিতিয়ে ফেলেছিলেন সেই বছরের কোপা আমেরিকাও, কিন্তু ব্রাজিলের আদ্রিয়ানোর শেষ মুহূর্তের ঝলকে ভেস্তে যায় সেটা।
ম্যারাডোনার রেকর্ড ভেঙে সবচেয়ে কম বয়সে দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলার অব দ্য ইয়ারের রেকর্ড গড়েছিলেন। ব্রাজিলিয়ান ক্লাব করিন্থিয়ানসে গেলেন। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশেও জিতলেন লিগ শিরোপা। আরও একবার দক্ষিণ আমেরিকার বর্ষসেরা ফুটবলার হিসেবে জাহির করলেন নিজেকে।
বোকা জুনিয়রস থেকে করিন্থিয়ানস ঘুরে যখন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নতুন ‘ম্যারাডোনা’র আগমন ঘটল, তখন অনেকেই শেষ দেখে ফেলেছিলেন। লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের কেউ কিন্তু সেই অর্থে সফল নন এখানে। ভেরন-ক্রেসপো থেকে শুরু করে সবাই ব্যর্থ। কিন্তু তেভেজ সাত মৌসুম কাটিয়েছেন ইংল্যান্ডে। সমানভাবে সফল হয়েছেন ওয়েস্ট হ্যাম, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ম্যানচেস্টার সিটিতে। এই তেভেজই ছিলেন ম্যানচেস্টার সিটির প্রথম দিককার খেলোয়াড়, যাঁদের দিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিল দলটি।
১০ মাস বয়সের সেই পোড়া দাগের ক্ষত নিয়ে এখনো খেলে যাচ্ছেন। কোটি টাকা পেয়েও বদলাতে চাননি নিজেকে। তাঁর ভাষায়, ‘এ দাগটা তো আমি কী ছিলাম, সেটা আমাকে মনে করায় সব সময়। আমি তো সেই মানুষই, দারিদ্র্যপীড়িত-সাধারণ। নিজের কাছে নিজেকে বদলাতে চাই না। মানুষের কাছেও বদলাতে চাই না।’
তেভেজের বদলানোর প্রয়োজনীয়তা চান না তাঁর ভক্তরাও। একজন পার্শ্বনায়ক হিসেবে তাঁর পদচারণই মুগ্ধ করে আমাকে। এই যোদ্ধার খেলা দাগ কেটে থাকবে অনেক বছর।
শুভ জন্মদিন, যোদ্ধা!
লাতিন আমেরিকা থেকে উঠে আসা ফুটবলারদের গল্প মানেই যেন দারিদ্র্যের ছোঁয়া। সেখান থেকে জীবনসংগ্রামে জয়ী হয়েই এ পর্যায়ে আসতে হয়। তেভেজও ভিন্ন কেউ নন। তবে তাঁর জীবনটা আরও বেশি কঠিন ছিল। মাত্র ১০ মাস বয়সে গায়ে গরম পানি পড়ে শরীরে তৃতীয় মাত্রার পোড়া ক্ষত সৃষ্টি হয়। এর ফলে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে থাকতে হয় প্রায় দুই মাস। সে দাগ মোছার জন্য চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি হতদরিদ্র পরিবারের।
আর্জেন্টিনাকে ম্যারাডোনা-বাতিস্তুতার পর প্রথম জয়ের স্বাদ দিয়েছিলেন তেভেজই। ক্রেসপো-ওর্তেগারা যে ট্রফির স্বাদ আর্জেন্টিনাকে দিতে পারেননি, তা দিতে সমর্থ হয়েছিলেন। দেশটিকে প্রথম অলিম্পিক সোনা জিতিয়েছেন ২০০৪ সালে। দেশকে অধরা সাফল্য এনে দিতে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন তেভেজ। আর্জেন্টিনাকে প্রায় জিতিয়ে ফেলেছিলেন সেই বছরের কোপা আমেরিকাও, কিন্তু ব্রাজিলের আদ্রিয়ানোর শেষ মুহূর্তের ঝলকে ভেস্তে যায় সেটা।
ম্যারাডোনার রেকর্ড ভেঙে সবচেয়ে কম বয়সে দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলার অব দ্য ইয়ারের রেকর্ড গড়েছিলেন। ব্রাজিলিয়ান ক্লাব করিন্থিয়ানসে গেলেন। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশেও জিতলেন লিগ শিরোপা। আরও একবার দক্ষিণ আমেরিকার বর্ষসেরা ফুটবলার হিসেবে জাহির করলেন নিজেকে।
বোকা জুনিয়রস থেকে করিন্থিয়ানস ঘুরে যখন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নতুন ‘ম্যারাডোনা’র আগমন ঘটল, তখন অনেকেই শেষ দেখে ফেলেছিলেন। লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের কেউ কিন্তু সেই অর্থে সফল নন এখানে। ভেরন-ক্রেসপো থেকে শুরু করে সবাই ব্যর্থ। কিন্তু তেভেজ সাত মৌসুম কাটিয়েছেন ইংল্যান্ডে। সমানভাবে সফল হয়েছেন ওয়েস্ট হ্যাম, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ম্যানচেস্টার সিটিতে। এই তেভেজই ছিলেন ম্যানচেস্টার সিটির প্রথম দিককার খেলোয়াড়, যাঁদের দিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিল দলটি।
১০ মাস বয়সের সেই পোড়া দাগের ক্ষত নিয়ে এখনো খেলে যাচ্ছেন। কোটি টাকা পেয়েও বদলাতে চাননি নিজেকে। তাঁর ভাষায়, ‘এ দাগটা তো আমি কী ছিলাম, সেটা আমাকে মনে করায় সব সময়। আমি তো সেই মানুষই, দারিদ্র্যপীড়িত-সাধারণ। নিজের কাছে নিজেকে বদলাতে চাই না। মানুষের কাছেও বদলাতে চাই না।’
তেভেজের বদলানোর প্রয়োজনীয়তা চান না তাঁর ভক্তরাও। একজন পার্শ্বনায়ক হিসেবে তাঁর পদচারণই মুগ্ধ করে আমাকে। এই যোদ্ধার খেলা দাগ কেটে থাকবে অনেক বছর।
শুভ জন্মদিন, যোদ্ধা!
No comments